সালফেট দেহে কী কী ক্ষতি করতে পারে?
আমরা জানি যে সালফেট সহযোগে বিভিন্ন ধরণের যৌগ গঠিত হয়, যেগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি ক্ষতিকর। এসব ক্ষতিকর সালফেট যৌগ এবং তাদের প্রভাব কেমন?
প্রথমত সরাসরি সালফেট উৎসের সাথে মানুষের সংস্পর্শ কম (বা নেই বললেই চলে)। তবে আধুনিকায়নের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিষ্কারক তৈরিতে সালফেট এর ব্যবহার খুব বেশি। তো এ ধরনের প্রোডাক্টের থাকা সালফেটরূপ আপনার কতটা ক্ষতি করছে সেটাই দেখার বিষয়।
সালফেটের দুটি প্রধান যৌগ হিসেবে উল্লেখ করা যায় সোডিয়াম লরাইল সালফেট(এসএলএস) ও সোডিয়াম লরেট সালফেট(এসএলইএস)। যেগুলো আপনি লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, সোপ, শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, থালা বাসন পরিষ্কারক এমনকি আপনার দৈনন্দিন ব্যবহার্য টুথপেস্টে পেতে পারেন। প্রথমত এই ধরনের পদার্থের স্বল্পমেয়াদী কোন প্রভাব আপনার শরীরে পাবেন না বা থাকলেও খুবই সীমিত এবং পার্সন টু পার্সন ভ্যারি করে। প্রচলিত মিথ হলো এরা কারসিনোজেনিক (অর্থাৎ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে লোকমুখে শোনা যায়)। কোন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন, বা তাদের ম্যানুফ্যাকচারার কেমন, কনজিউমার স্বাস্থ্য কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে কিনা এ ধরণের কিছু বিষয়ের উপরও ক্ষতি নির্ভর করছে। তবে আগেই বললাম মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা তীব্রতা না থাকলে স্বল্পমেয়াদী প্রভাব পাবেন না। দীর্ঘমেয়াদে যে বিষয়টি লক্ষ্য করতে পারেন, তা হল আপনার চোখ, নাক, ত্বক, মুখমন্ডল এমনকি লাংস ইরিটেশন পর্যন্ত হতে পারে।
খুব বেশী প্রয়োজন না পড়লে সালফারের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হওয়াই শ্রেয়।