কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সংবেদনশীল হতে পারবে?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে এটা কি সংবেদনশীল হতে পারবে?
কম্পিউটার সায়েন্স এর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এবং ফিউচারিস্টরা এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে আজ থেকে কয়েক যুগ পরে AI সংবেদনশীল হতে পারবে, তবে আবেগপ্রবণ হতে পারবে কিনা সে ব্যাপারে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।
AI এখন পর্যন্ত “মুখস্ত” করার পর্যায়ে আছে, যাকে গবেষকেরা Deep Learning বলে থাকেন। শুধুমাত্র কুকুর-বিড়াল আলাদা করে চেনাতেই তাদের প্রচুর ট্রেইনিং আর ডেটা লাগে। সেক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার ব্যাপারটা বেশ জটিলই হবে। সংবেদনশীলতার সাথে নিউরনের ভেতরে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কিছু বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়। তাই AI System যদি সংবেদনশীল হতে চায়, তবে তাকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সম্পন্ন হতে হবে। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কেবল শুরুর দিকে রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন।
অ্যাগুয়েরা ওয়াই আর্কাস ল্যামডার ব্যাপারে বলেছেন, “নিউরাল নেটওয়ার্কগুলি মানব মস্তিষ্কের অনুকরণ করে চেতনার দিকে এগিয়ে চলেছে। আমি আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া অনুভব করেছি। আমি ক্রমশ অনুভব করছিলাম যে আমি বুদ্ধিমান কিছুর সাথে কথা বলছি।”
আর্কিটেকচার, কৌশল এবং ডেটার পরিমাণে অগ্রগতির কারণে আজকের বৃহৎ নিউরাল নেটওয়ার্কগুলি চিত্তাকর্ষক ফলাফলগুলি তৈরি করে, যার ফাংশন মানুষের বক্তৃতা এবং সৃজনশীলতার কাছাকাছি অবস্থান করছে। কিন্তু এই ধারণা গুলো খুব বেশি রঙিন হয়ে যাচ্ছে আর গুগলও অনেকক্ষেত্রে এর বিরোধিতা করছে। যদি ল্যামডার মাধ্যমেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবেদনশীলতার জগতে প্রবেশ করে, তবে তা বিজ্ঞানের জগতে হবে নতুন এক অধ্যায়, আর মানব সভ্যতার জন্য হুমকি হলেও হতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সংবেদনশীল হতে পারে?