কোন গ্যাসটি ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে?

আরাফাত রহমান (anonymous)
0

এই প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে?

আরাফাত রহমান Selected answer as best December 20, 2021
1

গ্রীন হাউজ গ্যাসগুলোই (কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি) পৃথিবী থেকে বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে শক্তি আলো ও তাপরূপে আসে। তখন সেগুলো থাকে শর্টওয়েভ বা অল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। তবে পৃথিবী থেকে যখন সেগুলো নির্গমন হয়, তখন লংওয়েভ বা দীর্ঘ তরঙ্গ বিশিষ্ট হয়। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসা শক্তি আর পৃথিবী থেকে পুনরায় শক্তির এই নির্গমন এর ভারসাম্যকে সংক্ষেপে বলে রেডিয়েশন বাজেট। (এক্ষেত্রে পৃথিবীর শোষিত ও নির্গত শক্তির হিসাব অবশ্যই শক্তির সংরক্ষণনীতি মেনে চলে)। অর্থাৎ রেডিয়েশন বাজেট সংক্ষেপে আলোচনা করতে হলে শক্তির শোষণ ও শক্তির নির্গমন (ইনকামিং ও আউটগোয়িং এনার্জি) নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা যায়।

শক্তির শোষণঃ বিকিরিত সৌরশক্তি বায়ুমণ্ডল হয়ে পৃথিবীতে আসার সময় কিছু অংশ সারফেসে ও বায়ুমন্ডলে শোষিত হয়। আবার কিছু অংশ বরফখণ্ড, স্নো ও ভূপৃষ্ঠের অন্যান্য অংশ দ্বারা প্রতিফলিত হয়‌‌। উল্লেখ্য সূর্য হতে বিকিরিত শক্তি অবশ্যই স্বল্পতরঙ্গদৈর্ঘ্য সমন্বিত হয়। (এই শক্তি পরিমাপের একক ওয়াট/মি²) !

শক্তির নির্গমনঃ শোষিত শক্তি সাধারণত থার্মাল এনার্জি বা তাপ শক্তি হিসেবে পৃথিবীতে সঞ্চিত হয়। তবে যখন তা পৃথিবী থেকে নির্গত হয়, তখন গ্রীন হাউজ গ্যাস যেমন জলীয়বাষ্প, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি পৃথিবী থেকে নির্গত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অবলোহিত রশ্মির কিছু অংশ শোষণ করে। পৃথিবীর তাপ ভারসাম্য বজায় থাকে। (সমস্যাটা হয় এখানেই যখন গ্রীন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ অত্যাধিক হারে বাড়ার ফলে তা পৃথিবী থেকে অবলোহিত রশ্মি নির্গমনে বাধা প্রদান করে, যা ধীরেধীরে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ত্বরান্বিত করে)

আরাফাত রহমান Selected answer as best December 20, 2021

কিভাবে যুক্ত হবেন?

নতুন প্রশ্ন করার মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে পারবেন। সাইটের উপযোগী প্রশ্ন হলে আপনার একাউন্ট সক্রিয় করা হবে। প্রশ্ন করতে এখানে ক্লিক করুন।