জৈব রসায়নে বাফার দ্রবণ কী?
যে দ্রবণে এসিড ও ক্ষার যুক্ত করার পরেও দ্রবণের pH মানের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, সেসকল দ্রবণকে বাফার দ্রবণ বলা হয়। বাফার দ্রবণ দুই প্রকার। যথাঃ অম্লীয় বাফার ও ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ।
১৯০৮ সালে লরেন্স জোসেফ হ্যান্ডারসন একটি সমীকরন বের করেন যা কার্বনিক এসিডকে প্রাকৃতিক বাফার হিসেবে প্রমাণ করে। পরবর্তীতে লগারিদম ব্যবহার করে সমীকরনটি সংশোধন করেন কার্ল এলবার্ট হ্যাসেলবাগ। এই সূত্রটি এসিড ও ক্ষারকীয় দ্রবণের ক্ষেত্রে দ্রবণের pH মান নির্ণয়ে সক্ষম হয়। এছাড়াও কোন বাফার দ্রবণের pH মান কেমন হবে সেটিও জানা যায় উক্ত সমীকরন থেকে। এই সমীকরনটিকে হ্যান্ডারসন-হেসেলবাগ সমীকরন হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই সূত্রটিকে প্রধান সূত্র ধরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাফার প্রস্তুত করা হয়।
আপনি কি জানেন, রক্ত এক প্রকার বাফার দ্রবণ?
Tahshin Alam Utsho Answered question December 18, 2021