বিজ্ঞানীদের জীবনের কিছু মজাদার ঘটনা কী, যা আপনি জানেন?
বিজ্ঞানীদের জীবনের কিছু মজাদার ঘটনা কী, যা আপনি জানেন?
Tahshin Alam Utsho Answered question December 18, 2021
বিজ্ঞানীরা আসলেই পাগল। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে এগুলো পড়ুনঃ
- আইনস্টাইন একবার কোন একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে বাড়ি গেল। বাড়িতে গিয়ে তিনি দরজায় কড়া নারলেন। ভিতর থেকে তাঁর স্ত্রী বলল “আইনস্টাইন বাসায় নেই।” আইনস্টাইন চিন্তা করতে করতে চলে গেল। গৃহকর্তা তো বাসায় নেই!
- নিউটন একবার তাঁর এক বন্ধুকে দাওয়াত দিলেন। কিন্তু নিজেই ভুলে গেলেন। তিনি নিজের খাবার ঢেকে রেখে বাইরে গেলেন। এসময় তাঁর বন্ধু এসে তাঁকে ঘরে না পেয়ে তাঁর খাবার দেখে ভাবলেন নিউটন হয়ত খাবারটা তার জন্যে রেখে বাইরে গেছেন। সেখেয়ে শুয়ে পড়ল। শোয়ার আগে সে বাসনপত্র আগের মত ঢেকে রেখে দিল। নিউটন বাসায় এসে তাঁর বন্ধুকে দেখে ভাবলেন তিনি বোধ হয় বন্ধুর বাসায় চলে এসেছেন। কিন্তু না, ঐতো খাবার ঢাকা আছে। খাবার খেতে গিয়ে দেখলেন খাবার নেই। তাহলে তিনি বোধ হয় খাবার খেয়েই বাইরে গিয়েছিলেন!
- বিজ্ঞানী ও সাধকগণ কখনো কখনো এমন আত্মমগ্নতায় বিভোর হন যেনো সবকিছুই ভুলে যান সেই সাধনার মুহূর্তে। এমনিভাবে নিউটন কোন নতুন বৈজ্ঞানিক ভাবনায় ডুবে থাকতেন। আরও একদিনের ঘটনা। একজন লোক তাঁর বাড়িতে এসে একটা প্রিজম (তিনকোণা কাঁচ) দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এর দাম কত হতে পারে। সেই ব্যক্তি নিউটনের কাছে এই প্রিজমটি বিক্রির জন্যই এসেছিল। এ সময় নিউটন প্রিজমের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বললেন, এর প্রকৃত মূল্য নির্ণয় করা তাঁর সাধ্যের বাইরে। ফলে লোকটি বেশি দাম চাইল। নিউটন সেই দামেই প্রিজমটি কিনে ফেললেন। তোমরা জেনে অবাক হবে, পরবর্তীকালে এই প্রিজম থেকে তিনি উদ্ভাবন করেন বর্ণতত্ত্ব (The theory of color)|
- টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাল্ব ও গ্রামোফোন আবিষ্কার করার জন্য বিখ্যাত। উনি ছোটবেলা থেকেই কৌতুহল প্রবণ ছিলেন। তখন তার বয়স মাত্র ছয়। একদিন বাবা মা অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখতে পেলেন এডিসন হাসের খাচার মধ্যে ঢুকে বসে আছে। কি ব্যাপার? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাস কিভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায় তাই দেখছিলাম। আরেকদিন আগুন লাগলে কেমন লাগে সেটা দেখার জন্য নিজের খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
- টেসলার বাল্যকালের আবিষ্কারের কথা শুনলে তার ভক্তরা আরো মজা পাবেন। বাল্যকালে টেসলা নানা জিনিস পর্যবেক্ষণ করতেন। একদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনে হল, লাফ দিলে কিছু সময় তিনি ভেসে থাকতে পারছেন তবে পরক্ষণেই আবার মাটিতেই নেমে আসতে হচ্ছে তাকে। এবার তিনি ভাবলেন, যদি আরো উচ্চ থেকে লাফ দেয়া যায়, তাহলে হয়ত তিনি ভেসে থাকতে সক্ষম হবেন। যেই ভাবা সেই কাজ, বাড়ি থেকে একটি পুরনো ছাতা তিনি সংগ্রহ করলেন। তারপর উঠে গেলেন বাড়ির ছাদে। শক্ত করে আঁকড়ে ধরলেন ছাতার হাতল। এবার লাফ দিলেন! পরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। সৌভাগ্যক্রমে নিচেই ছিল একটি বালুর ঢিপি, যার উপরে তিনি পড়েছিলেন!
একারণেই বোধ হয় বলা হয় যে “সকল বিজ্ঞানীই পাগল, কিন্তু সকল পাগল বিজ্ঞানী নন”।
Tahshin Alam Utsho Answered question December 18, 2021