ব্যাকটেরিওফাজ কি?
ব্যাকটেরিওফাজ কি? এরা কিভাবে কাজ করে? কত ধরনের ব্যাকটেরিওফাজ আছে? এরা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
যে ভাইরাস সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার উপর আক্রমণ চালায়ে তাদেরকে ধ্বংস করা হয়, সে ভাইরাসকে ব্যাকটেরিওফাজ বলা হয়। অনেকে একে সংক্ষেপে “ফাজ” বলে। ব্যাকটেরিওফাজের দেহ মূলত প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিড সমন্বয়ে গঠিত। এরা শুধু ব্যাকটেরিয়া নয়, বিভিন্ন প্রাণীদেরকেও আক্রমণ করতে পারে।
ব্যাকটেরিওফাজ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যেমনঃ টি-টু ব্যাকটেরিওফাজ, টি-ফোর ব্যাকটেরিওফাজ, ল্যাম্বডা ফাজ, পি-ওয়ান ফাজ, এম-থার্টিন ফাজ ইত্যাদি। তবে প্রাথমিক স্কেলে এসব ব্যাকটেরিওফাজকে দুইভাগে ভাগ করা যায়ঃ লাইটিক ব্যাকটেরিওফাজ এবং টেম্পারেট ব্যাকটেরিওফাজ।
ব্যাকটেরিওফাজের ডিএনএ ব্যাকটেরিয়ার শরীরে প্রবেশ করার পরে সেটি একটি বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে, যা ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএকে অচল করে দেয়। এরপর ফাজটি রাইবোজোমের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশের দখল নিয়ে নেয়। এরপর পোষক ব্যাকটেরিয়ার ভেতরে ঐ ব্যাকটেরিওফাজের বংশবৃদ্ধি হয় এবং এক সময় ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীর ভেদ করে বেরিয়ে আসে।
এভাবে ব্যাকটেরিওফাজ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে। আবার টি-সিরিজের ব্যাকটেরিওফাজগুলো E.coli নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে দেয়। এখন বলুন তো, ব্যাকটেরিওফাজ উপকারী নাকি অপকারী?
ছবিঃ Scientia Society